ঠাকুরগাঁওয়ের খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ঠাকুরগাঁওয়ের খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে রমজানজুড়ে চলবে যুবদলের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

ঠাকুরগাঁওয়ে রমজানজুড়ে চলবে যুবদলের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

নিজ শহর পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় ঠাকুরগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে যুবদল। রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে জেলা যুবদলের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, আবাসিক এলাকা ও সড়কে একযোগে শুরু হয় এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান। পুরো রমজান মাস জুড়েই এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংগঠনটির নেতারা। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম জাহিদের সভাপতিত্বে এ কার্যক্রমে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু হানিফ মুক্তা অংশ নেন। এছাড়া সদর উপজেলা যুবদলের নেতা রেজাউল করিম লিটন, সদস্য মাসুদ রানা রনিসহ দলটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা অংশ নেন। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, রমজান এলে বাসাবাড়িসহ আবাসিক এলাকাগুলোতে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার প্রবণতা দেখা দেয়। এছাড়াও শহরের প্রধান সড়কগুলোতে ময়লা জমা হয়ে থাকতে দেখা যায়। ঈদ বাজারের কারণে মার্কেটের সামনেও নানা ধরনের ব্যাগ ও পলিথিন পড়ে থাকতে দেখা যায়। আমরা নিজ শহরকে পরিষ্কার রাখতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। এভাবে প্রত্যেক শহরে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলে পুরো দেশটাই পরিষ্কার হবে। আমাদের এ কর্মসূচি পুরো রমজান জুড়ে চলবে।
মৃত শাবক জবাইকৃত মাংস ফেলে পালিয়ে যায়   দূর্বত্তরা

মৃত শাবক জবাইকৃত মাংস ফেলে পালিয়ে যায় দূর্বত্তরা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঘোড়ার মাংসকে গরু মাংস বলে বিক্রির উদ্দেশ্যে ভূট্টা ক্ষেতে পাশে গর্ভবতী ঘোড়া জবাই করেছেন দূর্বত্তরা। একেই বলে মনুষ্যত্ব ভুলন্ঠিত,রাতের আধারে একটি দূর্বৃত্তের দল ভুট্টাখেতে ঘোড়া জবাই করে কাটাকাটি শুরু করে এর মধ্যেই গ্রামবাসীরা টের পেয়ে যায়। গ্রামের লোকজন জড়ো হতে থাকলে তারা একটি মোটরসাইকেল, জীবিত ঘোড়া, মৃত শাবক জবাইকৃত মাংস ফেলে পালিয়ে যায়। নাম না প্রকাশ শর্তে গ্রামের লোকজন পরে বটতলী মোড়ে এনে জনসম্মুখে প্রকাশ করে। তদন্তে মূলহোতা যিনি ঘৃন্য কাজের সাথে জড়িত ও অন্যান্য ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করছেন। এমনটাই ঘটেছে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৫ নং সদর ইউনিয়নে( দেহট্র হাটপুকুর) বটতলী মোড় এলাকায়। এই বিষয়ে হরিপুর উপজেলা থানা পুলিশকে জানানো হলে, কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার জানান, এস আই মো,মোশাররফ হোসেনকে সরেজমিনে পাঠানো হয়েছিল,তিনি তদন্ত করে এসেছে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি বিতরণ !

ঠাকুরগাঁওয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি বিতরণ !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে ১১০২ জন টিসিবি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। গত ১৬ মার্চ রবিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত টিসিবি কার্ডধারি ১১০২ জন সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে এই টিসিবি পণ্য বিতরণ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,স্মার্ট কার্ড না পাওয়ায় টিসিবি পণ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ৫ শত ২৮ টি পরিবার। দেড় মাস পার হলেও স্মার্ট কার্ড না পাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন পুরোনো এই কার্ডধারীরা। তারা রমজান মাসেও পাচ্ছেন না স্বল্পমূল্যের টিসিবি পণ্য। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী টিসিবি কার্ডধারীরা। এদিকে সরকারের ওপর দায় চাপাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এদের কার্ডগুলো নবায়ন করে স্মার্ট কার্ডে পরিবর্তিত করতে জমা নেওয়া হয়। গত ১৩ জানুয়ারি ছিল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১১০২টি স্মার্ট কার্ড বিতরণ করে চিলারং ইউনিয়ন। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস অব্দি এখন পর্যন্ত ২ বার তাদের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। কিন্তু বাকি থাকা ৫ শত ২৮ টি অসহায় পরিবার বঞ্চিত হয়। দীর্ঘ দেড় মাস পার হয়ে গেলেও যাচাই-বাছাই শেষ না হওয়ায় স্মার্ট কার্ড হাতে পাননি সুবিধাভোগী পরিবারগুলো। টিসিবি ডিলার জানান, রমজান মাস উপলক্ষে ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি ছোলা ও ৫ কেজি চালের প্যাকেজ ৬শত টাকায় বিক্রি করা হয়। গত ১৬ মার্চ রবিবার ৭ নং-- চিলারং ইউনিয়ন পরিষদে বিক্রি হয় স্বল্পমূল্যের এসব টিসিবি পণ্য। ৬০০ টাকা হাতে নিয়ে টিসিবি পণ্যে নিতে ছুটে আসেন জাহানারা বেগম(৫২),মাজেদা নেগম(৫৬),মেহেরুন বেগম(৬০),সুফিয়া বেগম ৫৫,আবু তালেব(৪০), আব্দুর রহিমসহ (৩৫) অনেকেই। কিন্তু লাইনে দাড়ালেও স্মার্ট কার্ড না থাকায় তাদেরকে দেওয়া হয়নি স্বল্পমূল্যের পণ্য। পরে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় তারা বলেন, পুরোনো টিসিবির কার্ড নিয়ে স্বল্পমূল্যের পণ্য কিনতে এসেছিলাম। শুনছিলাম পুরোনো কার্ডেই দেবে। কিন্ত দেখি স্মার্ট কার্ড ছাড়া কারো কাছে টিসিবির মালামাল বেঁচে না। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ‘হামাক স্মার্ট কার্ড না দেওয়ায় ‘২ মাস যাবৎ টিসিবির মালামাল কিনতে পারি না। রমজান মাসেও কিনতে পারলাম না। বাজার থেকে চড়া দামে চিনি, তেল, ডাল, ছোলা, চাল কেনা আমাদের মতো গরীব মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অনেকক্ষণ দাড়াইছিলাম তারপরও দিল না। জাহানারা বেগম নামে এক বৃদ্ধ মহিল বলেন,”হামা গরিবলা ভাত খাবারে চাওল পায়না আর যেইলা লোক পাছে উমা পাশত লাগাই বিক্রি করে দেছে নাহইলে গরু ছাগলক খিলাই ফিলাছে”। ৭ নং-- চিলারং ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার মেসার্স নেছার আহমেদ এন্ড ব্রাদার্স স্বত্তাধিকারী নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে সরকারের নিয়ম মাফিক সংশ্লিষ্ট পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও অন্যদের সার্বিক সহযোগিতায় পণ্যগুলো বিতরণ করছি। মোবাইল অ্যাপসে ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিতরণ করার কারণে একজনের পণ্য অন্যকে প্রদান করার কোন সুযোগ নেই। টিসিবি বিতরণের সকল তথ্য সঙ্গে সঙ্গে সার্ভারে সংরক্ষিত হওয়ার কারণে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা চাইলেই সকল তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন। তাই টিসিবি বিতরণে কোন অনিয়ম করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শোভা আলী বলেন,প্রতিবার ১৬৩০ জনকে টিসিবি পণ্য দিয়ে আসলেও এবার কেবল ১১০২ জন স্মার্ট টিসিবি কার্ডধারী এই সুবিধা পাবেন। বাকিরা অভিযোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে স্মার্ট টিসিবি কার্ড ধারী যাদের ভেরিফিকেশন হচ্ছিল না তাদের প্রত্যেককে ভেরিফিকেশন করে টিসিবি পণ্য দেয়া হয়েছে। যেহেতু মোবাইল অ্যাপসে প্রতি গ্রাহকের তথ্য পূরণ করে টিসিবি পণ্য দিতে হচ্ছে, সেহেতু একটু সময় লাগতে পারে।আর যাদের কার্ড অনলাইন হয়ে আসেনাই পর্যায়ক্রমে আসবে বলে জানান তিনি। কোন হট্টগোল না করে ধৈর্য্য সহকারে ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের শান্তিপূর্ণভাবে টিসিবি পণ্য গ্রহণ করে সরকারের ভালো উদ্যোগকে শতভাগ সফল করার প্রতি আহবান জানান। রমজান মাসের শুরুতেই সুবিধাভোগীরা টিসিবি পণ্য পেলেন না তবে সামনে পুরোনো কার্ডে দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্মার্ট কার্ড ছাড়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বিষয়টি ডিসি স্যারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি। পরবর্তী সময়ে যদি কার্ড না হয় সেই ক্ষেত্রে হয়তো ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হতে পারে। এ বিষয়ে জেলা টিসিবি অফিস থেকে ভালো বলতে পারবে। এই বিষয়ে চিলারং ইউনিয়নের সচিব শামসুজ্জামান বলেন,ইউনিয়নে ১১০২ জনকে টিসিবি কার্ডধারি পরবারকে টিসিবি পণ্য দেওয়া হচ্ছে।যারা কার্ড পায়নি তারা কার্ড পাবে কিনা এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করতেছে সরকারের উপর।যেহেতু ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধমে টিসিবি বিতরণ করা হচ্ছে, সেহেতু কোন প্রকারের অনিয়ম করার সুযোগ নেই।
ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুষ লেনদেনের সময় টাকা সহ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটর আটক ।

ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুষ লেনদেনের সময় টাকা সহ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটর আটক ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শেরিকুজ্জামান ও অডিটর মো. হান্নানকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৭ মার্চ) হরিপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতির নিকট ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও জেলা দুর্নীতি কমিশনের একটি দল তাদের আটক করে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক জোহরা খাতুনের অবসর ভাতা প্রক্রিয়াকরণের জন্য শেরিকুজ্জামান ও হান্নান ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। দর-কষাকষির পর ২২ হাজার টাকায় রফা হয়। ১৭ হাজার টাকা আগেই দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৫ হাজার টাকা দিতে গেলে দুদকের দল তাদের হাতেনাতে আটক করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরিকুজ্জামান ও হান্নান যোগদানের পর থেকে ঘুষ লেনদেনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে তারা ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিতেন। এ ছাড়া যেকোনো কাজের জন্য সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিতেন । অভিযোগ রয়েছে, শেরিকুজ্জামান নিজেকে ‘মহাশক্তিধর’ মনে করতেন এবং প্রায়ই ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাগ্নে পরিচয় দিতেন। তবে সরকার পতনের পর তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা হিসেবে দাবি করেন। এর আগে শেরিকুজ্জামান ও আরেক অডিটর মজিবর রহমানের ঘুষ লেনদেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিলেন। জোহরা খাতুনের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম রংপুর বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে ঘুষের বিষয়ে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। অভিযোগের তদন্ত হলেও শেরিকুজ্জামান বহাল তবিয়তে ছিলেন এবং মজিবর রহমানকে বদলি করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয় মো. আজমির শরিফ মারজী, সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই এই অফিসের ওপর নজর রাখছিলাম। দীর্ঘ তদন্তের পর নিশ্চিত হয়েই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃত ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত চার

ঠাকুরগাঁওয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত চার

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন চারজন, যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন । সদর উপজেলার রুহিয়া থানা এলাকার পাটিয়াডাঙ্গী বাজারের খড়িবাড়ি হঠাৎপাড়া গ্রামে রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত চারজন হলেন আবদুল জলিল, তার স্ত্রী পারুল বেগম এবং তাদের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ও ইউনুস আলী। গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিকদের আবদুল জলিল বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) রাত থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ভাড়া করা লোক এনে হামলা করা হয়েছিল। আমি তারাবির নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে আমার ছোট ভাইয়ের বউ খুব ডেঞ্জারাস। সে তার ভাইয়ের ছেলে এনে আমার বড় ছেলেকে মারধর করে। রাতে বিষয়টি কুলায়ে উঠতে পারিনি। ‘পরদিন সকালে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করি। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলেকে শাসন করি। লাঠি দিয়ে মারি। এরই মধ্যে আমার আরেক ভাতিজা সাদেকুল ইসলাম ছুরি দিয়ে আমাদের আঘাত করে।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদেকুলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিবুল আলম বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেছি। তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে।’ রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম নাজমুল হুদা বলেন, ‌‘খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ‘স্থানীয়রা একজনকে আটক করেছে। তার পূর্ণাঙ্গ নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
পঞ্চগড়ে চেম্বারের আয়োজনে এক হাজার ব্যাবসায়ীর একসাথে ইফতার

পঞ্চগড়ে চেম্বারের আয়োজনে এক হাজার ব্যাবসায়ীর একসাথে ইফতার

ইনসান সাগরেদ পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে এক হাজার ব্যবসায়ী একসাথে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর আয়োজনে চেম্বার কনভেনশন হলে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় । এতে হাজারও ব্যবসায়ী একসাথে ইফতার করেছেন। এ সময় পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতি শরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জাকির হোসেন , চেম্বারের ট্রেজারার শফিউজ্জামান পাটোয়ারি রুবেল , পরিচালক কামরুজ্জামান শাহানশাহ, রাওজুল করিম, হায়াতুন আলম সহ জেলার বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধি এবং জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিল। প্রতিবছর পঞ্চগড় চেম্বারের আয়োজনে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয় । কিন্তু এবার এক হাজার ব্যাবসায়ী একসাথে ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতারে উন্নতমানের গোলাপি শরবত, কাচ্চি বিরানী সহ নানান ধরনের সুস্বাদু আইটেমের খাবার ছিল । ব্যবসায়ীরা জানান এবারের ইফতারের আয়োজন অত্যন্ত মানসম্পন্ন ছিল। চেম্বার অব কমার্সের বর্তমান কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন আমরা চাই প্রতিবছর এমন আয়োজন করা হোক। ইফতারের পূর্বে মাওলানা খায়রুল ইসলাম দোয়া পরিচালনা করেন। পঞ্চগড় চেম্বারের মৃত সদস্য এবং প্রয়াত সভাপতি গনের জন্য এবং পঞ্চগড় বাসীর শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
ঠাকুরগাঁওয় শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত

ঠাকুরগাঁওয় শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার ঠাকুরগাঁও। শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্যদুরীকরণ, ইদের আগেই সরকারি শিক্ষক ও কর্মচারিদের ন্যায় শতভাগ উৎসব, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা প্রদানসহ দশ দফা দাবি আদায়ে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) ঠাকুরগাঁও জেলা শাখাে উদ্যোগে এ কর্মসুচী পালন করা হয়। আজ রোববার দুপুরে জেলার পাঁচটি উপজেলার শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে জেলা শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টাবব্যাপি এ কর্মসুচি চলাকালে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা পাঠদান করালেও বৈষম্য করা হচ্ছে। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্যদুরীকরণ, ইদের আগেই সরকারি শিক্ষক ও কর্মচারিদের ন্যায় শতভাগ উৎসব, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা প্রদান, EFT সমস্যার দ্রুত সমাধান করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়াসহ বেতন ভাতা প্রদান করা। সরকারি স্কুলের ন্যায় বেসরকারি স্কুলের 'প্রধান শিক্ষক'-এর বেতন স্কেল ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডসহ টাইম স্কেল প্রদান করা। এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সার্বজনীন বদলী প্রথা চালু করা। সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পেনশন প্রথা চালুকরণ এবং চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদানসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধ করা। শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় ৬৫ বছরে উন্নীতকরা। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভূক্ত 'শিক্ষকদের পদায়ন করা।ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি প্রথা বিলুপ্ত করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় পরিচালনা করা। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করাসহ দশ দফা মেনে নিতে হবে অন্যথায় আরো কঠো কর্মসুচি প্রদানের হুশিয়ারী উচ্চারণ সংগঠনটির করেন নেতারা। এর আগে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। কর্মসুচিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মো: পবারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসমিন আলী, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: নাছিরুল ইসলাম ও সিনিয়র সহ সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ অনেকে। কর্মসুচি পালন শেষে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানার মাধ্যমে প্রধান উপদেস্টা ও শিক্ষা মন্ত্রনালয় বরাবরে একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন তারা।
ঠাকুরগাঁওয়ে ভূট্টা ক্ষেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, পলাতক স্বামী।

ঠাকুরগাঁওয়ে ভূট্টা ক্ষেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, পলাতক স্বামী।

ঠাকুরগাঁওয়ে ভূট্টা ক্ষেত থেকে রুমা আক্তার (৩০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী দেলোয়ার হোসেন (৪৫) পলাতক রয়েছেন। আজ দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ভাতগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুমা আক্তার ২ সন্তানের জননী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রায় ১৪ বছর ধরে রুমা বিভিন্নভাবে স্বামীর কাছে নির্যাতনের শিকার। অন্য একটা মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল দেলোয়ারের। জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় পাশবিক নির্যাতন করে রুমাকে হত্যা করে ভূট্টা ক্ষেতে ফেলে দিয়েছে পালিয়েছে এমন অভিযোগ করেন তারা। অন্যদিকে এ বিষয়ে দেলোয়ারের পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে এলাকাবাসীরা জানায়, মেয়েটি অনেক ভালো ছিল। দেলোয়ার একজন অটো চালক। বিভিন্ন কারণে রুমাকে মারধোর করতে দেখেছি আমরা। আজ বেলা ১২ টার দিকে আমরা ভাতগাঁও গ্রামে ভূট্টা ক্ষেতে রুমা নামে এই মহিলার লাশ দেখতে পেলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রুমাকে যদি কেউ হত্যা করে থাকে তাহলে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন পরিবারসহ এলাকাবাসীরা। এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদ বলেন, ঘটনা শুনেই আমরা এখানে এসেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ২ দিনেও উদ্ধার হয়নি : শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ২ দিনেও উদ্ধার হয়নি : শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ



ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে আড়াই মাসের এক শিশুকে চুরি করে নিয়ে গেছে এক অজ্ঞাতপরিচয় নারী। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধা পর্যন্ত শিশুটি উদ্ধার হয়নি। প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা শহরের চৌরাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পরে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা এসে উদ্ধারের আশ্বাসে ছাত্র-জনতা সমাবেশ শেষ করে ফিরে যায়। জানা যায়, ওই দিন সন্ধায় সদর উপজেলার ভুল্লি মুন্সিরহাট গ্রামের শিমুলের ছেলে সায়ান ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সারাদিন এক অচেনা নারী শিশুটির পাশে থেকে তার যত্ন নেয় এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। সন্ধ্যায় শিশুটির মা হাসি (১৯) ও নানি (৪০) পাশের ওয়ার্ডে অন্য এক রোগীকে দেখতে গেলে ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ফিরে এসে তারা শিশুটিকে বিছানায় না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পাননি। শিশুটির বাবা শিমুল হোসেন বলেন, ‘আমার সন্তানকে হাসপাতাল থেকে চুরি করে নিয়ে গেলো! আমরা গরিব মানুষ, কারও কোনও তি করিনি। হাসপাতালের নিরাপত্তা যদি ঠিক থাকতো, তাহলে এভাবে আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে পারতো না। এর দায় হাসপাতাল কর্তৃপ ও নিরাপত্তাকর্মীদের নিতে হবে।’ ঘটনার পরপরই ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহিদুর রহমান বলেন, ওই দিন রাতেই মহিলা শিশুটিকে নিয়ে গাজিপুরে চলে গেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। গাজিপুর পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের তৎপরতা অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘শিশু চুরি হওয়ার ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে আমরা হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এ ছাড়া হাসপাতালের আশপাশের এলাকা, বাস ও ট্রেন স্টেশনেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

উপ-সহকারী প্রকৌশলীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার ঠাকুরগাঁও। ঠাকুরগাঁও জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও কার্য সহকারীদের উপর অব্যাহত হামলা এবং হুমকি প্রদানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সার্বিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। আজ সোমবার ১০ (মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলা কার্যালয় সামনে এলজিইডি প্রকৌশল পরিবারের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে সদর উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজিবুল হাসান, সদর উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম, সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমানসহ সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ঘন্টাব্যাপি এ কর্মসুচি চলাকালে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সুষ্ঠভাবে সরকারের কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এলজিইডির কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা হামলার শিকার হচ্ছে। শুধুমাত্র চাঁদা দিতে অস্বীকার করায়। একইসাথে অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসুচি পালনের হুশিয়ারীসহ সকল রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ড, ভবনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে বলে জানান তারা।
ঠাকুরগাঁওয়ে ইট ভাটায় মোবাইল কোট, জরিমানা, ভাংচুর বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন ।

ঠাকুরগাঁওয়ে ইট ভাটায় মোবাইল কোট, জরিমানা, ভাংচুর বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ,, ঠাকুরগাঁওয়ে ইট ভাটায় মোবাইল কোট, জরিমানা, ভাংচুর বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন পালিত হয়। ১১ মার্চ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও জেলা কালেক্টরেট চত্বরে এ মানববন্ধন ও পরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। বাংলাদেশ ইট প্রস্তুকারী মালিক সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে কেন্দ্রীয় সমিতি ঘোষিত কর্মসচী অনুযায়ী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মো: মুরাদ হোসেন, সদস্য সচিব মো: হুমায়ুন কবির, ইট ভাটা মালিক মো: লাভলু, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। বক্তারা সারা দেশের ন্যয় ঠাকুরগাঁও জেলায় নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে ৩৫/৪০ বছর যাবৎ ইটভাটা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন উল্লেখ করে বলেন, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ীসহ সকল অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে ইটভাটাগুলো। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সমতা রেখে ইটভাটার মালিকগণ বায়ুদুষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজ্যাগ ভাটা স্থাপন করে যাহা জ্বালানী সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি, ও উপমহাদেশে টেকসই এবং সহজ প্রযুক্তি হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে উল্লেখ করে সারা দেশে, একই সাথে ঠাকুরগাঁও জেলায় ইটভাটাগুলোতে মোবাইল কোট, জরিমানা ও ভাংচুর বন্ধের দাবি জানিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে ৭ দফা দাবি সম্বিলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

৫ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে ৯ দিনমজুর পরিবার

৫ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে ৯ দিনমজুর পরিবার

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চাপাপাড়া গ্রামে অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব হারানো ৯ দিন মজুরের পরিবার ৫ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আগুনে ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে তারা রাত কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় শেষ সম্বল হারানো নিম্ন আয়ের এ মানুষগুলো। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তাদের বাড়িতে যা ছিল সব পুড়ে গেছে, ঘরে আসবাবপত্র, নগদ টাকা, বই খাতা সব পুড়ে গেছে। কিছুই রক্ষা পায়নি। ঘর পুড়ে গেছে মানে সব শেষ। পরনের বস্ত্র ছাড়া কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারেননি তারা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ কেজি করে চাল এবং কম্বল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আলহাজ্ব মোবারক আলী চ্যেরিটেবল ট্রাষ্ট, কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং এক বিএনপি নেতা কিছু সহায়তা করেছেন। তা দিয়ে কোন মতে খাবার সংকুলান হলেও নতুন করে ঘর তোলার সামর্থ তাদের নেই। অর্থের অভাবে ঘর তুলতে পারছেন না তারা। বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে বয়স্ক এবং বাচ্চাদের নিয়ে খুব বিপদে আছেন তারা। শুক্রবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ভিটায় পলিথিন টেনে তার নিচে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে নারী ও শিশুরা রাত্রি যাপন করছেন। পুরুষরা থাকছেন বাইরে। বাড়ির সব জিনিস পত্র খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। দু’একজন আগুনে পুড়ে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া টিন দিয়ে চালা করার চেষ্টা করছেন। খাদ্য, পানি, চিকিৎসা ও বাসস্থানের অভাবে মানবেতর দিন পার করছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা। উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ রাতে উপজেলা চাপাপাড়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯ দিনমজুর পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে যায়। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক সহায়তা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে টিন ও নগদ টাকা দিয়ে সহায়তা করা হবে।

বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

মসজিদের ইমামকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মসজিদের ইমামকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলায় মসজিদের ইমাম খায়রুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে ও সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী ও পরিবারের স্বজনেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নেকমরদ চৌরাস্তায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন নিহত ইমামের পরিবার ও এলাকাবাসী। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে জড়ো হয়। পরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম, মেয়ে খাদিজাতুল কোবরা,নেকমরদ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাজালাল,বিএনপি নেতা সোহেল রানা,নেকমরদ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা কাউসার হাবিব নাগরাজ সহ এলাকাবাসীরা। এসময় বক্তরা অভিযোগ করে বলেন,এই ঘটনায় এজাহার দেয়ার ৭দিন হয়ে গেলেও পুলিশ কোন আসামী ধরছেনা। সকলে যানে আসামী কে কিন্তু পুলিশ নিরবতায় রয়েছে। আমরা চাই দ্রæত সময়ে আসামীকে গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচার করা হোক। উল্লেখ্য,গত শনিবার (১ মার্চ ) সকালে রাণীশংকৈলে উপজেলার দুর্লভপুর বামনবাড়ি এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মসজিদের ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে রানীশংকৈল থানা পুলিশ। নিহত ব্যক্তি মসজিদের ইমামতির পাশাপাশি বামন বাড়ি শামসুদ্দিনের মিলে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। হত্যার ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পীরগঞ্জে ভুট্টাক্ষেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার জড়িত সন্দেহে সৎভাই গ্রেফতার

পীরগঞ্জে ভুট্টাক্ষেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার জড়িত সন্দেহে সৎভাই গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে উপজেলার ৫ নং সৈয়দপুর ইউনিয়ন ইনুয়া এলাকায় ভুট্টাক্ষেত থেকে সিয়াম (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ইনুয়া গ্রামে একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই শিশুর সৎভাই লাইস (১৪) কে আটক করেছে পুলিশ। সিয়াম ইনুয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ছেলে।সিয়ামের মা সানু আক্তার জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিয়ামকে বাড়িতে রেখে পাশের মাঠে গরুর জন্য ঘাস আনতে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন সিয়াম বাড়িতে নেই । অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে ভুট্টাক্ষেতে তার মরদেহ দেখতে পান। পরে তার সৎভাই লাইসকে জিজ্ঞাসা করলে লাইস জানায় সিয়ামকে মেরে ভুট্টাক্ষেতে ফেলে রেখেছে সে। পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় সৎভাইকে আটক করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে !

ঠাকুরগাঁওয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,, ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবির পণ্য বিতরণী পয়েন্টে ব্যবহৃত বস্তার গায়ে বিগত স্বৈরশাসক সরকারের স্লোগান লেখা থাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জনতা ও সুশীল সমাজের সদস্যরা ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, যার কারণে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, "খুধা হবে নিরুদ্দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ" স্লোগান সম্বলিত বস্তাগুলি এখনো বিভিন্ন ডিলার পয়েন্টে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সরকারি নির্দেশনার পরিপন্থী। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকার টিসিবি পণ্য বিতরণী পয়েন্টে এই ধরনের বস্তা ব্যবহৃত হচ্ছে, যা সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। যদিও অন্যান্য জেলার ডিলাররা বস্তার পরিবর্তন এবং স্লোগান মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। টিসিবির ডিলাররা জানান, তাদের সরবরাহ করা বস্তাগুলি বদলানো হয়নি এবং কোন নির্দেশনা তাদের কাছে পৌঁছায়নি। তবে, তাদের মধ্যে কিছু ডিলার বস্তার স্লোগান কালো কালি দিয়ে মুছে ফেলেছেন, কিন্তু বেশিরভাগ বস্তা এখনও আগের অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, "যদিও আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে, তবে তার প্রেতাত্মারা এখনো কিছু কিছু জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে এবং তারা সরকারের স্লোগানগুলো এখনও প্রয়োগ করছে।" তারা আরও বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদুল হাসান এর সাথে সম্পর্কিত অভিযোগ রয়েছে যে তিনি পূর্ববর্তী সরকারের সময় থেকেই এই কাজ চালিয়ে আসছেন এবং তার পরেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদুল হাসান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন, জানিয়ে দেন যে তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নিষেধ রয়েছে কথা বলার জন্য।
ঠাকুরগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই ।

ঠাকুরগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,, ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়া সহ এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় উড়াও পাড়ার তোতা মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৫ মার্চ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের গোবিন্দনগর এলাকার উড়াও পাড়ার তোতা মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তোতা মিয়ার ছেলে প্রিয় ইসলামকে (১৭) মাদক সহ আটক করেন মাদকদ্রব্য কর্মকর্তারা। পরে একই এলাকার আরিফ (২৫), রাজা (২৩) ও বিজয় (২২) নামের তিন যুবক হামলা চালিয়ে হাতকড়া পরা অবস্থায় প্রিয় ইসলামকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় সিপাহি ফেরদৌস কোবির বাঁধন ও এ,এস,আই আব্দুল হালিম আহত হন। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে অভিযান চালিয়ে একই এলাকার মৃত মালেক আলীর ছেলে ইমরান আলী (২৩), খুশি আক্তারসহ (১৮) আরও কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইমরান আলীকে ১০০ টাকা জরিমানা ও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম। ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ফরহাদ আকন্দ বলেন, প্রিয় ইসলামকে গ্রেপ্তার করলে তার ভাড়াটে ৩ যুবক এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সরকারি কাজে বাধা প্রদানে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষে একটি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে ইমরান নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে এক মাসের জেল ও ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গীতে  জুয়েলের ইটভাটা জোহানা ব্রিকস ১৫ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ।

বালিয়াডাঙ্গীতে জুয়েলের ইটভাটা জোহানা ব্রিকস ১৫ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতার ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাট সহকারি কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হুসাইন । ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নে অবৈধ/ অননুমোদিত ভাবে গড়ে উঠা ইটভাটা জোহানা ব্রিকস বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলী আসলাম জুয়েলের ইটের ভাটায় ইস্কুভেটর (ভেকু) যন্ত্র দ্বারা ফিস্ট চিমনির নিচের অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং আগুন লাগানোর অনুপযোগী করে দেয়া হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ইট ভাটার ফিস্ট চিমনির উপরের অংশ নিজ দায়িত্বে ভেঙ্গে ফেলবেন মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন ।মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস সদস্যগণের উপস্থিত ছিলেন।
পীরগঞ্জের ‘যতই কষ্ট হোক সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করব’ - আবুল কাশেম ।

পীরগঞ্জের ‘যতই কষ্ট হোক সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করব’ - আবুল কাশেম ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,, ‘যতই কষ্ট হোক সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করব’ জন্মের কয়েক মাস পর অগ্নিদুর্ঘটনায় আবুল কাশেমের (৪৭) ডান পা পুড়ে যায়। বিভিন্ন চিকিৎসকের দ্বারস্ত হলেও অর্থের অভাবে পরবর্তীতে আর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার পরিবারের। এরপর থেকে অকেজো পা নিয়েই শুরু হয় তার জীবনের পথচলা। একটি বিয়ারিং গাড়ির সাহায্যে পথে-প্রান্তরে কাজের সন্ধানে ছুটে চলছেন অবিরাম। বর্তমানে পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে কোনো মতো দিন কাটছে তার। নিজে স্কুলের বারান্দায় পা রাখতে না পারলেও সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করে পঙ্গুত্ব জয় করতে চান আবুল কাশেম। ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ পৌর শহরের ভেলাতৈড় এলাকার বাসিন্দা আজিমুল ইসলামের ছেলে আবুল কাশেম। জন্মের কয়েক মাসের মাথায় অগ্নিদুর্ঘটনায় তার ডান পা পুড়ে যায়। শত চেষ্টায়ও সুস্থ হয়ে ওঠতে পারেননি। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে সুস্থ করে বিদ্যালয়ে পাঠাবেন। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পা ভালো করা যাবে, কিন্তু এর জন্য অনেক অর্থ গুনতে হবে। অন্যথায় অকেজো পা নিয়েই চলতে হবে কাশেমকে। হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে এত অর্থ ঘর থেকে বের করা সম্ভব হয়নি। আর নিজের জমি-জায়গা বলতে বসতভিটে ছাড়া কিছুই নেই তাদের। কষ্ট আর আফসোস নিয়ে আবুল কাশেম শৈশব-কৈশোর পার করেন। এরপর ২০০১ সালে পাশের গ্রামের পরিমা বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর তারা আলাদা হয়ে যান। সংসার আলাদা হয়ে যাওয়ায় অন্ধকার নেমে আসে কাশেমের জীবনে। কিছু দিন এর-ওর কাছে সাহায্য চেয়ে কোনো মতো খেয়ে-পরে থাকতেন। পরে স্থানীয়রা কটু কথা বললে আর সাহায্যের জন্য কারো কাছে হাত পাতেননি। পরে কাজের সন্ধানে বের হলেও কেউ তাকে কাজ দিচ্ছিল না। উপায়ন্তর না পেয়ে নিজেই গতি বাড়াতে তৈরি করেন একটি বিয়ারিং গাড়ি। এ গাড়ি নিয়েই ছুটে চলেন বিভিন্ন প্রান্তে কাজের সন্ধানে। প্রতিদিন সকালে বিয়ারিং গাড়িতে বসে দুই হাতের সাহায্যে কাজে বের হন। সারাদিন ইট ভেঙে যে মজুরি পান তা দিয়েই চলে তার পাঁচ সদস্যের পরিবারের সংসার ও দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ। আবুল কাশেমের তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে বাঁধন ইসলাম (১৮) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। মেজো ছেলে করিমুল ইসলাম (১২) পীরগঞ্জ জামতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সপ্তম শ্রেণি ও ছোট ছেলে আরিফুল ইসলাম (৭) পীরগঞ্জ ভদ্রপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। আবুল কাশেমের প্রতিবেশী লিমন জানান, তিনি খুবই গরিব। অন্য দশ জনের মতো হাঁটাচলা করতে পারে না। বিয়ারিং গাড়ির সাহায্যে কাশেম হাটবাজার ও কাজে যাতায়াত করেন। সরকারের উচিৎ কাশেমকে সাহায্য করা। এক হাতে ইনহেলার আর অন্য হাতে খুন্তি, এভাবেই সংসার চালান বৃদ্ধ আরেক প্রতিবেশী আবু তারেক বলেন, অতিকষ্টে জীবন-যাপন করছে কাশেমের পরিবার। একটি বিয়ারিং গাড়ির সাহায্যেই তার জীবন টিকে আছে। শত কষ্টের মাঝেও তিনি তার সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ রাখেননি। তার কাছে আমাদের শেখার আছে। সব কিছু হাসিমুখে মেনে নেন। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে পরিবারটি সচ্ছল হবে। পীরগঞ্জ বাজারের দোকানদার মশিউর রহমান বলেন, আবুল কাশেমকে আমি ছোট থেকেই চিনি। সে খুবই গরিব। তার জমি জায়গা বলতে কিছুই নেই। তিন সন্তানের দুই সন্তান লেখাপড়া করছে। কাশেমের একটা পা ছোট থাকতেই পুড়ে যায়। তখন থেকেই লাঠির ওপর ভর করে চলাফেরা করছে। এরপর একটা বিয়ারিং গাড়ি বানিয়ে বিভিন্ন স্থানে ইট ভাঙার কাজ করে। আমার দোকানেও সে বাজার করে। খুব দরিদ্র। অনেক সময় বাজার করার মতো টাকা থাকে না। তবে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উচিত তার পাশে দাঁড়ানো। কাশেম সাহায্য পাওয়ার যোগ্য। কাশেমের স্বজনরা জানান, জন্মের কয়েক মাস পর আগুনে পুড়ে যায় তার ডান পা। এরপর অর্থের অভাবে সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। তবে এই পঙ্গুত্ব নিয়ে হার মানেননি কাশেম। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এই পঙ্গুত্বকে শক্তি ভেবে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলশিক্ষিকা আজমা আক্তার বলেন, কাশেমের এই জীবনযুদ্ধ সমাজের কাছে একটি বড় অনুপ্রেরণা। তাকে দেখে আমাদের শেখা উচিত। অন্যের কাছে হাত না পেতে নিজে কর্ম করে রোজগার করে সংসার চালাচ্ছেন। তার সন্তানরাও মেধাবী। এসএম মনিরুজ্জামান নামে এক সমাজ উন্নয়ন কর্মী বলেন, সমাজের সুস্থ-সবল মানুষগুলো যেখানে চামচামি, দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সেখানে কাশেম শারীরিকভাবে অক্ষম হয়েও টানছেন সংসারের হাল। অন্যরা যেখানে চুরি-ডাকাতি করেও সফলতা না পেয়ে ক্ষুব্ধ সেখানে শারীরিক অক্ষমতা নিয়েও ২২ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধ। এই কাশেমরা আমাদের সমাজে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন চিরকাল। আবুল কাশেম বলেন, বিয়ের পর পরিবার থেকে আমাকে আলাদা করে দেয় আমার মা-বাবা। এরপর মানুষের কাছে চেয়ে খেতাম। একদিন এক লোক বলল ভিক্ষা করে আর কতদিন খাবি? পরে একটি বিয়ারিং গাড়ি তৈরি করে দুই হাতের সাহায্যে চলাচল করছি। অনেক সময় কাজে যেতে পারি না। কষ্ট হয়। তারপরও সন্তানের লেখাপড়া ও তাদের খাওয়ার কথা চিন্তা করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। ইট ভাঙার কাজ করে যে মজুরি পাই তা দিয়েই কোনো মতো খেয়ে দিন পার করি। মাঝে মধ্যে আমার বড় ছেলে মাঠে কাজ করে আমাকে সাহায্য করে। তিনি আরও বলেন, নিয়ত করেছি কারও কাছে হাত পেতে সাহায্য চাইবো না। প্রতিদিন তো আর ইট ভাঙার কাজ মেলে না। নিজের অনেক স্বপ্ন ছিল স্কুলে যাব, উচ্চশিক্ষিত হব, কিন্তু আফসোস সেই স্বপ্ন আর আমার পূরণ হলো না। তাই যতই কষ্ট হোক না কেন সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করব। তবে সরকারিভাবে যদি আমাকে একটু সাহায্য করা হয় তাহলে আমার অনেকটা উপকার হয়। অনেকের কাছে গিয়েছিলাম সাহায্যের জন্য, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। পীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেন, আবুল কাশেমকে আমরা চিনি। তার একটা পা আগুনে পড়ে যায়। এরপর থেকেই সে বিয়ারিং গাড়ির সাহায্যে চলাফেরা করছে। আবুল কাশেমকে সমাজসেবা অফিসে ডাকা হয়েছে। তার কী কী সমস্যা তা শুনে সাহায্য করা হবে।

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পুলিশ জনগণ এক সাথে কাজ করলে অপরাধ কমবে. এডিশনাল ডিআইজি

পুলিশ জনগণ এক সাথে কাজ করলে অপরাধ কমবে. এডিশনাল ডিআইজি

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ পুলিশ ও জনগণ এক সাথে কাজ করলে সামাজিক অপরাধ ও বিশৃঙ্খলা কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ শরিফ উদ্দীন। বৃহস্পতিবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পুলিশ সার্কেল অফিস পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, জুলাই গণ অভুত্থ্যানের পর পুলিশ বাহিনীতে যে ট্রমা ছিল তা অনেকটাই কেটে গেছে। রংপুরে পুরোদমে কাজ করছেন তারা। আইন শৃঙ্খলা ও জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন। অপরাধ এবং অপরাধিদের বিরুদ্ধে যে লড়াই, তা পুলিশের সাথে সর্বস্তরের নাগরিক এগিয়ে আসলে অপরাধ কমানো সহজ হবে। মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি, বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ করা সহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।এক্ষেত্রে কাউজে ছাড় দেওয়া হবে না। চলমান আপারেশ ডেভিল হান্ট পরিচালনায় রংপুর রেঞ্জ পুলিশ সফল দাবী করে এডিশনাল ডিআইজি আরো বলেন, তারা এরই মধ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সহ বেশ কিছু সফলতা অর্জন করেছেন। এর জন্য পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃতও করা হচ্ছে। এ সময় জেলা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন রায়, পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম, হরিপুর থানার ওসি জাকারিয়া মন্ডল সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পীরগঞ্জে বরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পীরগঞ্জে বরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বিয়ের দিনে বরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের জগথা মহল্লার একটি আম বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, জগথা মহল্লার মৃত মোস্তফা আলমের ছেলে অরিফ ইসলামের সাথে সদর উপজেলার চিলারং গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যার পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে বর বেশে নববধু আনতে যাওয়ার কথা ছিল অরিফের। কিন্ত তার আগেই ভোর রাতে বাড়ির পাশে^ জনৈক আজিজের আম বাগানে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সুত্র জানায়, আরিফ শহরের চৌরাস্তায় ওষুধের দোকান করতেন। বিয়েতে মত ছিল না তার। শারীরিক সমস্যা আছে এমনটা দাবি করে বিয়ে করতে চাননি তিনি। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লাগে। এর আগেও তার বিয়ে ঠিক করা হলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আরিফ। এবারো বিয়েতে মত ছিলনা তার। এক প্রকার জোর করেই তার বিয়ে ঠিক করা হয়। এতে বাধ্য হয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছেন তিনি। জোর করে বিয়ে ঠিক করা হয়নি দাবী করে আরিফের বোন রনি আক্তার বলেন, তার মতামত নিয়েই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। রাতে বাড়িতেই ছিল তার ভাই। খাওয়া-দাওয়া শেরে বাড়ির নিজ ঘড়েই ঘুমান তার ভাই। ভোর রাতে ভাইকে ঘড়ে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে এক পর্যায়ে পাশে^র আমবাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। কি কারণে তার ভাই এমনটা করলেন-এটা তিনিও ভাবতে পারছেন না। পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন।